January 12, 2025, 1:54 am

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ মানুষ

মোঃ নূরবক্ত মিঞা, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

ঘরের বাতি জ্বলে না,ফ্যানের পাখা ঘোরে না,ফ্রিজটাও বন্ধ আছে কয়েক দিন থেকে চলেনা,কুড়িগ্রামের উলিপুরে পল্লী বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ মানুষ। কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।প্রখর রোদের কারনে তীব্র গরম শুরু হয়েছে।এর মধ্যে  বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ ও চরম দুর্ভোগে পড়েছে উলিপুরের মানুষজন।চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ  উৎপাদন কম হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে দাবি বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টদের।
ঘন ঘন লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজ এর ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতগুলোতে কাজের স্বাভাবিক গতি হারাচ্ছে। অনেক মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স  যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

গত ২৭ (সোমবার)সকালে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫থেকে ৬ ঘন্টা পযর্ন্ত  বিদ্যুৎ এর দেখা মিলে নি ।গত মঙ্গলবার  সন্ধ্যার পর হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ।প্রায় ২ ঘন্টা থেকে আড়াই ঘন্টা পর বিদ্যুতের দেখা মিলে।এর আগে শনিবার,রোববার কোথাও সকালে,কোথাও দুপুরে ও রাতে দেড় ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত চলে লোডশেডিং।

একই অবস্থা কুড়িগ্রাম জেলার সব উপজেলা গুলোতে।একবার বিদ্যুৎ গেলে, তার দেখা যেন সহজে আর পাওয়া যায় না।প্রায় প্রতিদিন জেলার কোনো না কোনো এলাকায় ঘটছে। এমন পরিস্থিতি থাকায় গ্রাহকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কুড়িগ্রাম অফিস ও উলিপুর জোনাল  অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার  পল্লী বিদ্যুতের ৯টি সাবষ্টেশনে  বিদ্যুতের চাহিদা  রয়েছে ৬৫ মেগাওয়াট। গত ৬/৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে  ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানায়।
উলিপুর উপজেলার  মাদরাসাতুন নাবা নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার  শিক্ষার্থী তানভীর উল ইসলাম লাবিব বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে উলিপুরে তীব্র গরম চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি খেলায় আমরা অতিষ্ঠ’।তিনি আরও বলেন, ‘সকালে বিদ্যুৎ থাকে না,আবার এসে দুপুরে থাকে না।এছাড়া রাতে এক থেকে দেড় ঘন্টার লোডশেডিং তো এখন নিত্য দিনের সঙ্গী।ঘনঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারনে ঠিক মতো লেখা পড়া করতে  পারছি না।
উলিপুর শহরে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী মাহফুজার রহমান বুলেট বলেন,’ গত  ৭/৮ দিন ধরে বিদ্যুৎ আসে আর যায়।একদিকে গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। অন্যদিকে বিদ্যুৎ ফরাৎ -ফুরুৎ আসা যাওয়ার ফলে বাসার অনেক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে।

উপজেলার মাঝবিল বাজারের  ছমিল মালিক মামুন মিয়া জানান,” কয়েকদিনের লোডশেডিং এ মিলের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে গিয়েছে।ঠিক মতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় বেশীর ভাগ সময় মিলের মেশিন বন্ধ থাকছে”।
ঘনঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং এর বিষয়ে উলিপুর জোনাল অফিস এর ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার  সোহানুর রহমান সোহান সাথে কথা হলে তিনি  জানান,উলিপুরে দুটি উপকেন্দ্র উলিপুর ও দুর্গাপুরের জন্য আমাদের ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা,সেখানে আমরা কয়েকদিন থেক বিদ্যুৎ পাচ্ছি সাত থেকে সাড়ে সাত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।যা আমাদের চাহিদার অর্ধেক।এটা ন্যাশনাল গ্রিড  থেকে সমস্যা।তাই লোডশেডিং করে চালাতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মহিতুল ইসলাম  বলেন,উৎপাদন কমে আসায় লোডশেডিং করে চালাতে হচ্ছে। ন্যাশনাল গ্রিড থেকে প্রতিদিন ৫৫ মেগওয়াট পেয়ে আসলেও। গত কয়েকদিন থেকে, ৩০থেকে ৩৫ মেগওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলেও তিনি জানান। ###

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর